শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
সিরাজুল ইসলাম- ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
গ্রামের মানুষ সুখে আছে, হাহাকার নেই- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামের মানুষ সুখে আছে, হাহাকার নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমাজের এমন কোনো শ্রেণি নেই, যাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেনি সরকার।
বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।
তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক চাপ সত্বেও দেশের অর্থনীতি এখনও বেশ গতিশীল রয়েছে। আজকে মানুষ অন্তত খেয়ে-পরে ভালোই আছে। গণভবনও একটা ফার্মহাউজের মতো হয়ে গেছে।
কাঁচা মরিচ, হলুদ, আদা, ধান, লেকের মাছ, সরিষা, চাল, হাঁস-মুরগি, গরু, ২৬টা ছাগল আছে বাচ্চা কাচ্চাসহ। শাকসবজি, ফলমূল, গবাদিপশু সবকিছুতে গণভবন স্বয়ংসস্পূর্ণ।”
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের গ্রামের মানুষও এখন শহরের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে সব সুবিধা পাচ্ছে। গ্রামের নারী-পুরুষ সমানতালে কাজ করছে।
কুটিরশিল্প থেকে শুরু করে চাষাবাদ ও বিভিন্ন পশুপালনেও গ্রাম স্বয়ংসম্পূর্ণ। এসব হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। খাম্বা দিয়েছিল, আর টাকা বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপির পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে এনেছি আমরা। ২০০১-০৮ পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ খাতের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
অথচ গেলো সাড়ে ১৪ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার মেগাওয়াটে।এখন সর্বোচ্চ পিক আওয়ারে দেশে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করেছি আমরা।”
দেশ খাদ্যে পরিপূর্ণ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী আজ আমাকে জানিয়েছেন, সরকারি গুদামে চাল রাখার জায়গা নেই৷ তাই জায়গা খালি করা প্রয়োজন। মাসে মাসে যারা চাল পান, ভিজিএফের মতো যারা পায়, তাদের একযোগে তিন মাসের চাল দেয়ার মাধ্যমে গুদামে জায়গা ফাঁকা করা হবে।
নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে বসতে না পারার আক্ষেপ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “নিজের দলের সঙ্গেই ইদানিং বসার সময় পাই না। এমন একটি সময়েই আপনাদের সঙ্গে বসা। আপনারাও রাজনীতি করেন, দেশের অগ্রগতির জন্য আপনাদের চিন্তাও শুনতে চাই; যাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি।”